বৃক্ষরোপণ উৎসব
-সুজিত চ্যাটার্জি
কারা যেন বৃক্ষরোপণ করেছিল পৃথিবীকে সবুজ করে তোলবার অঙ্গিকারে।
সম্ভবত সেটা একটা কবি সাহিত্যিক গোষ্ঠী।
অনেকেই আমন্ত্রিত। হাজিরার সংখ্যা নেহাৎ মন্দ ছিল না যদিও সেটা ছিল প্রভাতী অনুষ্ঠান।
প্রভাত বলতে মেট্রো শহর অবিশ্যি দশটার আগে জাগে না।
তবুও রবিবার ব’লে রক্ষে।
ছুটির গন্ধ গায়ে মেখে স্নিগ্ধ সুষমায় পরিবেশ গড়ার ভাবনায় বিমোহিত হয়ে ,
কল্পজগতের ভাবুকতা সমেত সমবেত মণ্ডলীর সহাস্যমুখ বিজ্ঞান ভাষণের প্রাজ্ঞতায় সবিশেষ করতালি ধ্বনি মুখরিত হলো আকাশে বাতাসে।
যন্ত্রণার যন্ত্র মাইকের অমাইক ব্যবহারে লজ্জিত হলো শব্দদূষণ।
শহুরে ফুটপাতের কোল ঘেঁষে ভূমিষ্ঠ হলো শিশু বৃক্ষ পরম আদরে।
হলো জল সিঞ্চন। নিরাপদ লৌহ জালের বেষ্টনীর কঠিন বন্ধনে বাঁধা রইলো শিশু তরুর ভবিষ্যৎ ।
ফুটপাতের চা দোকানি কালি দা র ফোকলা মুখে চওড়া হাসি। তিনশো টাকার বাড়তি বিক্রির খুশিতে।
সেই খুশির বহর আরও চওড়া হলো বৎসরান্তে।
শিশু তরু র কৃষ্ণপ্রাপ্তি হয়েছে নিদারুণ অবহেলায় অচিরেই । তবুও অটুট আছে সেই লৌহ জালের কঠিন বেষ্টনী।
সেটি বর্তমানে ফুটপাতের চা দোকানি কালি দা র নিরাপদ হেফাজতে।
এঁটো চায়ের ভাঁড় ফেলার চমৎকার জায়গা রুপে ।।
দারুণ
দারুণ
খুব ভাল লাগলো। শব্দ আর বাক্যের মেল্বন্ধন যথোচিত এই অণুগল্পটির জন্য।